৫০ বছরে বিলুপ্ত ৩০০ কোটি পাখি
প্রকাশিত : ০৪:৫৮ AM, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ শনিবার ২৭৬ বার পঠিত
সায়েন্স এন্ড বায়োলজিক্যাল কনজারভেশনের জার্নালে প্রকাশিত দুটি গবেষণা থেকে জানা যায়, গত ৫০ বছরে শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডাতেই পাখির সংখ্যা কমেছে ৩শো কোটি।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় ১৯৭০ সালে পাখির যে সংখ্যা ছিল তা থেকে প্রায় তিনশো কোটি পাখি কমেছে।
পাখির ওপর সায়েন্স এন্ড বায়োলজিক্যাল কনজারভেশন জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা বলছে, গত পঞ্চাশ বছরে উত্তর আমেরিকায় পাখির সংখ্যা ২৯ শতাংশ কমে গেছে। ১৯৭০ সালের পর উত্তর আমেরিকায় যতগুলো পাখিশুমারি হয় তা বিশ্লেষণ করে এ সংখ্যা নিরুপণ করা হয়েছে।
পাখির সংখ্যা কমে যাওয়ার জন্য সরাসরি নির্দিষ্ট করে কোন কারণ উল্লেখ না করলেও বেশ কিছু কারণের মধ্যে মানুষের পরিবেশ বিরোধী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডকে দায়ী করা হয়।
পাখি কমে যাওয়ার বিষয়টি বিশ্লেষণ করেন মার্কিন পাখি সংরক্ষণ বিভাগ ও পক্ষীবিদ্যা গবেষণাগারের প্রধান গবেষক ড. কেন রোজেনবার্গ।
তিনি বলেন, কিছু প্রজাতির পাখি কমে যাবে এটা আমরা জানতাম। আমরা মনে করেছিলাম, বিরল প্রজাতির পাখি বিলুপ্ত হলেও সাধারণ পাখিগুলো মানবজাতির সাথে মানিয়ে নিয়ে সেই শূন্যস্থান পূরণ করবে। তবে পাখিশুমারির পর আমরা বিস্মিত হয়েছি। সাধারণ পাখির সংখ্যাও আশঙ্কাজনকভাবে কমেছে।
এদিকে এশিয়া মহাদেশের বিভিন্ন অংশে বিশেষ করে ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপের বাসিন্দাদের মধ্যে গান গাওয়া পাখির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। গানের প্রতিযোগিতায় লাগানো হয় এ-ধরনের পাখিকে। গান গাওয়া সুরেলা পাখির রমরমা বেচা কেনা চলে দ্বীপটিতে। এসব কারণে বেশ কয়েকটি প্রজাতির পাখি বিলুপ্তির পথে বলে গবেষণায় উল্লেখ করা হয়।
শুধুমাত্র জাভা দ্বীপেই ৭ কোটি ৫০ লাখ পাখিকে পোষা পাখি হিসেবে রাখা হয়েছে।
ম্যানচেস্টার মেট্রোপলিটান ইউনিভার্সিটির প্রফেসর স্টুয়ার্ট মার্সডেন বলেন, পাখির প্রতি ভালবাসা থেকেই পাখিকে খাঁচায় বন্দি রাখার প্রবণতা লক্ষ করা যায়। আর এই ভালবাসাকে কাজে লাগিয়ে পাখি সংরক্ষণের ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।
এছাড়া পাখি শিকার বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ারও আহ্বান জানান এই পরিবেশ ও পাখিবিদ।
শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি Alokito Sakal'কে জানাতে ই-মেইল করুন- dailyalokitosakal@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
Alokito Sakal'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।