হলের খাবারে বড়শি,কেঁচো রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
প্রকাশিত : 08:37 PM, 20 September 2019 Friday 599 বার পঠিত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নবাব আব্দুল লতিফ হলের ডাইনিংয়ের খাবারে টাকি মাছের ভর্তায় বড়শি ও কেঁচো পাওয়ার অভিযোগে হলের প্রধান ফটক বন্ধ করে আন্দোলন করেছে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে চলা আন্দোলনের এক পর্যায়ে হলের ভেতরে চেয়ার, টেবিল, খাবার প্লেট ও সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
হলের প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে খাবারে বড়শি কেনো? অজুখানা নেই কেনো? রিডিং রুম নেই কেনো? ক্যান্টিন নেই কেনো?
প্রশাসন জবাব চাই বলে শ্লোগান দিতে থাকেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। এসময় হল প্রশাসনের কাছে হলের বিভিন্ন সমস্যা নিরসনের দাবি জানান তারা। এদিকে বড়শি পাওয়ার ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, হলের আবাসিক শিক্ষার্থী বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ইমরান হোসেন ডাইনিংয়ে দুপুরের খাবার খাওয়ার সময় মাছ ভর্তার মধ্যে মাছ ধরা বড়শি ও কেঁচো পান।
এরপর হলের প্রধান ফটক বন্ধ করে আন্দোলন শুরু হয়। এদিকে হল প্রাধ্যক্ষ ড. একরাম হোসেন শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থামাতে চেষ্টা করলেও তারা থামেনি। ভিতরে প্রবেশ করতে চাইলেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি তাকে।
পরে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান উপস্থিত হয়ে হল প্রাধ্যক্ষসহ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে হলের পিছন গেইট দিয়ে হলের ভিতরে প্রবেশ করেন। পরে প্রক্টর, হলের আবাসিক শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের নিয়ে আলোচনায় বসেন হল প্রাধ্যক্ষ। সেখানে দাবি-দাওয়া পূরণের আশ্বাস দিয়ে খাবারে বড়শি পাওয়ার ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে হলের আবসিক শিক্ষক সাইফুর রহমানকে আহবায়ক করা হয়েছে। অন্য দুই আবাসিক শিক্ষক ড. আব্দুল হালিম ও ড. ছালেকুজ্জামান খাঁন সদস্য হিসেবে আছেন।
হল প্রাধ্যক্ষ একরাম হোসেন বলেন, ‘ঘটনার পরই হলে গেলে শিক্ষার্থীরা প্রথমে আমাকে ঢুকতে দেয়নি। পরে প্রক্টরসহ অন্য শিক্ষকদের সঙ্গে হলে প্রবেশ করি। শিক্ষার্থীরা হলের খাবার মান, বিশুদ্ধ পানি, রিডিং রুম, ক্যান্টিন সংস্কারসহ কয়েকটি দাবি তুলেছে। সেগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুরু করা হবে। ইতোমধ্যে হলের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ চলছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আজকে খাবারে বড়শি পাওয়ার অভিযোগ তুলেছে শিক্ষার্থীরা। এজন্য তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটিতে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের অভিযোগগুলো যৌক্তিক। হল প্রশাসন তা মেনে নিয়েছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অতিসত্বর কাজ শুরু করবে।’
এর আগে ২০১৮ সালের ১৫ এপ্রিল খাবারে পোকা পাওয়ার অভিযোগ তুলে ডাইনিং ভাঙচুর করেন ওই হলের শিক্ষার্থীরা। তখন তারা খাবার মান ও হল সংস্কারসহ ১২ দফা দাবি জানিয়েছিলেন।
শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি Alokito Sakal'কে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
Alokito Sakal'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।