স্বরূপকাঠিতে জমে উঠেছে নৌকার হাট
প্রকাশিত : 02:07 AM, 15 August 2019 Thursday 541 বার পঠিত
স্বরূপকাঠিতে জমে উঠেছে নৌকার হাট। বর্ষা ও পানির এ মৌসুমে দক্ষিণাঞ্চলের নদী-খাল-বিল সর্বত্রই যেন পানিতে টইটম্বুর থাকে। আর এ মৌসুমে সহজে পথ চলাসহ ফসল-ফলাদি বহনের প্রধান বাহন হিসেবে ব্যবহূত হয়ে আসছে নৌকা। সভ্যতার বিকাশে ইঞ্জিনচালিত ট্রলার থাকলেও প্রতি বছর বর্ষা ঋতুতে বেড়ে যায় নৌকার কদর। স্বরূপকাঠি উপজেলার সীমান্তবর্তী আটঘর-কুড়িয়ানা ইউনিয়নের আটঘর খালে জলে ও ডাঙায় চলে আসছে এ নয়নাভিরাম নৌকার হাট। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের ভিড়ে সরগরম এখন নৌকার হাট। সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার আটঘর খালে বিকিকিনি হয় নৌকা।
প্রবীণ ব্যবসায়ী সূত্র জানায়, আশির দশকের প্রথম দিকে ওই খালে নৌকা বিক্রির হাট শুরু হয়। এ ছাড়াও উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বন্দর মিয়ারহাটেও প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার বসে নৌকার হাট। বর্ষা মৌসুম এলেই এ উপজেলার চামী, গগন, বিন্না, ডুবি গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী নাজিরপুরের উপজেলার বৈঠাকাটা ও বানারীপাড়ার ইলুহার, গাভাসহ বিভিন্ন গ্রামের কাঠ মিস্ত্রিরা নৌকা তৈরির কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এসব এলাকার দুই সহস্রাধিক পরিবার দীর্ঘদিন ধরে নৌকা-বৈঠা তৈরি ও বিক্রি করে তাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। নদীমাতৃক এ অঞ্চলের কৃষিজীবী মানুষের জীবন-জীবিকার অন্যতম বাহনই হচ্ছে নৌকা। আষাঢ় মাস থেকে আশ্বিন মাস পর্যন্ত বসে এ নৌকার হাট। আটঘর খাল ও খালের পাড়ে রাস্তার ওপরে দুই পাশজুড়ে বিভিন্ন সাইজের নৌকার বেচাকেনা চলে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
চামী গ্রামের নৌকা তৈরির কারিগর মোশাররফ জানান, চাম্বল, মেহগিনি, কড়াই, রেইনট্রি, গুলাপ, আমড়া, বাদাম প্রভৃতি গাছের কাঠ দিয়ে নৌকা তৈরি করেন।
ডুবি গ্রামের নৌকা মিস্ত্রি শাহাদাত হোসেন জানান, একটি নৌকা তৈরি করতে দুই জন শ্রমিকের সময় লাগে একদিন। নৌকার সাইজ ও কাঠের প্রকার ভেদে দুই হাজার থেকে ছয় হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয় নৌকা।
শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি Alokito Sakal'কে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
Alokito Sakal'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।