শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে শিশির ভেজা ভোর
প্রকাশিত : 04:05 AM, 22 September 2019 Sunday 1,054 বার পঠিত
উত্তরাঞ্চলের গাইবান্ধায় সূর্যের কিরণে দূর্বা ঘাসে কিংবা ধানের কচি ডগায় মুক্তার মতো আলো ছড়িয়ে ভোরের শিশির জানান দিচ্ছে, শীত আসছে। এই শীত কেবল কুয়াশা মাখা প্রকৃতিই নয়; মাঠে মাঠে ছড়িয়ে থাকা কৃষকের এক রাশ সবুজ স্বপ্ন—সোনালি রঙে রাঙিয়ে তার গোলা ভরিয়ে দেবে সারা বছরের খাবার ধান। তখন কিছু সময়ের জন্য দূর হবে তার শত কষ্ট আর গ্লানি। নবান্নের উত্সব আর আনন্দে মেতে উঠবে কৃষকের ঘর, গ্রাম ও শ্বাশত এই বাংলা।
কৃষি প্রধান এই জেলার গ্রাম অঞ্চলে ভোরবেলা মাঠে ময়দানে ঘুরে দেখা যায়, হালকা লালচে রঙের ভালো লাগা সূর্যের ঝিলিক। আর দূর্বা ঘাস ও ধানের কচি ডগায় কিংবা পথেপ্রান্তরে প্রকৃতিতে ছড়িয়েছিটিয়ে থাকা মাকড়শার জালে মুক্তার মালার মতো শিশিরের কণা। এ যেন চিরচেনা এই বাংলার গ্রীষ্ম আর শীতের মাঝে হেমন্তের এক অপরূপ প্রকৃতি। শীতের আগমনী বার্তা।
গাইবান্ধার লেখক ও সাংবাদিক গোবিন্দ লাল দাস জানান, ‘প্রকৃতি জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। শীত মানেই বাংলার কৃষকের ঘরে উত্সব, পিঠা, পুলি, পায়েস আর জামাই মেলা। তিনি আরো বলেন, এক সময় এই শীতকালেই সবচেয়ে বেশি ফসল বাংলার কৃষকের ঘরে উঠত। এছাড়া এই সময়টি ছিল গ্রামবাংলার অবসর ও বিনোদনের একমাত্র সময়। তাই এই ফসল ঘরে তোলার পর সারা গ্রামবাংলায় শুরু হতো যাত্রাপালা, কবি গান, বেহুলা লক্ষীন্দরের পালা, পতুল নাচসহ নানা উত্সব। কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায় আজ সব কিছু হারিয়ে গেছে। কিন্তু প্রকৃতি থেকে এখনো হারিয়ে যায়নি শীতের এই আগমনী বার্তা।’
বগুড়া আঞ্চলিক আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ সজিব হোসাইন জানান, ‘কুয়াশা পরিমাপক যন্ত্র গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে চালু করা হয়েছে। গত কয়েক দিন থেকে ভোরবেলা হালকা কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। আশ্বিন মাসের দিন যত যাচ্ছে শীতের আগমন ততই উপলব্ধি হচ্ছে। ’
শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি Alokito Sakal'কে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
Alokito Sakal'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।