রাস্তায় বিলে মিলল বিপুল পরিমাণ টাকার কুচি
প্রকাশিত : ০৫:০৭ AM, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ বুধবার ২৪২ বার পঠিত
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার পল্লিতে রাস্তার পাশে ও বিলে বিপুল পরিমাণ ছেঁড়া ও কুচি করে কাটা টাকা পাওয়া গেছে। কুচি কুচি করে কাটা ঐ টাকা দেখে শোরগোল পড়ে যায় পুরো এলাকায়। পরিবর্তীতে সেই প্রচারণা এতটাই বিস্তৃত হয় যে হুলস্থুল কাণ্ড বেঁধে যায়। প্রশাসন, গোয়েন্দা সংস্থা আর মিডিয়াকর্মীরা গিয়ে ভিড় জমান সেখানে। এছাড়া উত্সুক জনতা দলে দলে ছুটে যান বিলের পাড়ে। পরে খোঁজ নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়, বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের ছেঁড়াফাটা ও পরিত্যক্ত ঐ টাকাগুলো পাঞ্চিং (কেটে টুকরো করা) করে বগুড়া পৌরসভাকে তা অপসারণ করতে বলে। পৌর কর্তৃপক্ষ সেই টাকা নিয়ে গিয়ে ঐ স্থানে ফেলে দেয়। কুচি কুচি করে কাটা এসব টাকার নোটগুলো ছিল ১০০০, ৫০০, ১০০, ১০ টাকার। তবে সবই পুরোনো ও বাতিল টাকা।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে উপজেলার খোট্টাপাড়া ইউনিয়নের চান্দাই গ্রাম সংলগ্ন খাউরা বিলের পাড়ে টাকাগুলোর সন্ধান পাওয়া যায়। পরিত্যক্ত ঐ টাকার একাংশ বিলের পানিতেও নিমজ্জিত অবস্থায় ছিল। চান্দাই গ্রামের বাসিন্দা নয়ন মিয়া, আব্দুল জলিল, বিলকিস বেগম, জালসুকা গ্রামের রমজান আলী ও ফজলুল হক জানান, সকাল থেকে তারা বিলের পানিতে এবং পাড়ে টাকার টুকরোগুলো পড়ে থাকতে দেখেন। গ্রামের অনেকেই জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করার জন্য সেসব টাকা বস্তায় করে বাড়ি নিয়ে যায়। পরে আশপাশের গ্রামবাসী সেই টাকা দেখতে বিলের পাড়ে ভিড় জমায়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে বিষয়টি জানার পর শাজাহানপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ প্রথমে ঐ টাকার উত্স সম্পর্কে কিছুই জানতে পারেনি। একারণে সেখান থেকে কয়েক বস্তা টুকরো টাকা নমুনা হিসেবে সংগ্রহ করে থানায় নিয়ে যায়।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) সনাতন চক্রবর্তী জানান, শুরুতেই টাকাগুলো নিয়ে নানা ধরনের গুজব শুরু হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া গেছে সেগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের বাতিল টাকা।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক বগুড়া শাখার নির্বাহী পরিচালক জগন্নাথ ঘোষ সাংবাদিকদের জানান, বেশকিছু টাকা বাতিল এবং অপ্রচলনযোগ্য হওয়ায় তা ধ্বংস করা হয় (পাঞ্চিংয়ের মাধ্যমে টুকরো করা)। পরবর্তীতে ঐ টাকাগুলো অপসারণ করার জন্য পৌরসভাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তারা ব্যাংক থেকে তিনটি ট্রাকে করে টাকাগুলো অপসারণ করে সম্ভবত ঐখানে ফেলেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বগুড়া শাখার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ব্যাংকিং) সরকার আল ইমরান জানান, আগে বাতিল টাকার কুচি পুড়িয়ে ফেলা হতো, কিন্তু পরিবেশ দূষণ হওয়ায় টুকরোগুলো আর পোড়ানো হচ্ছে না। এখন ময়লা হিসেবে পৌরসভার মাধ্যমে বস্তায় ভরে ফেলে দেওয়া হচ্ছে।
বগুড়া পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট এ কে এম মাহবুবর রহমান জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক ময়লা-আবর্জনা হিসেবে সেগুলো আমাদেরকে দিয়েছিল। এগুলো যে টাকার টুকরো তা আমাদের জানা ছিল না। তাই ময়লা-আবর্জনা হিসেবে উল্লেখিত স্থানে ফেলা হয়।
শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি Alokito Sakal'কে জানাতে ই-মেইল করুন- dailyalokitosakal@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
Alokito Sakal'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।