মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে বেড়েছে রোগীর চাপ
প্রকাশিত : ০৩:৩২ PM, ১২ জানুয়ারী ২০২১ মঙ্গলবার ২৬ বার পঠিত
সাব্বির হোসেন, মেহেরপুর প্রতিনিধিঃ শীতজনিত কারণে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে বাড়তে শুরু করেছে শ্বাসকষ্টজনিত রোগীর চাপ। মেহেরপুর ২৫০ শয্যার হাসপাতালের বহির্বিভাগে এখন রোগীর চাপ বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। কর্তৃপক্ষ বলছে, হাসপাতালটিতে ভর্তি রোগী ও আউটডোরে চিকিৎসা নেওয়া ৩৫ শতাংশই শীতজনিত রোগে আক্রান্ত। যতই বাড়তে শুরু করেছে শীতের সময়, ততই হাসপাতালে বাড়ছে শ্বাসজনিত রোগীর চাপ। অ্যাজমা, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, অ্যালার্জি, সর্দি-কাশি যেন আকড়ে ধরেছে মানুষকে।
যদিও শীত তিব্রতা এখন কম তারপরও প্রতিদিনিই বাড়ছে রোগীর সংখ্যা, আগে দৈনিক ৩০-৪০ জন সেবা নিলেও গত কিছুদিন ধরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫০-২০০ জনে। আর হাসপাতালটিতে ভর্তি থাকা রোগীর ৩৫ শতাংশই শীতজনিত রোগে আক্রান্ত। আর গত এক সপ্তাহে হাসপাতালটিতে রোগী ভর্তি হয়েছে ৯৮ জন ঠান্ডাজনিত সমস্যা নিয়ে।
এছাড়াও প্রতিদিন গড়ে ৩০-৩৫ জন নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছে এবং সুস্থ্য হয়ে বাড়ি যাচ্ছে ২০-২৫ জন। বর্তমানে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১০ বেডের বিপরীতে ৩২ জন, পুরুষ ও শিশু ওয়ার্ডে ৪০ বেডের বিপরীতে ৯৮ জন মহিলা ও গাইনি ওর্য়াডে ৪০ বেডের বিপরীতে ৮৫ জন চিকিৎসা নিচ্ছে। নতুন রোগীদের মধ্যে বেশির ভাগই শিশু ও বৃদ্ধ। তাই শীতে বাড়তি সতর্কতারও পরামর্শ চিকিৎসকদের।
এ দিকে ১০০ শয্যার হাসপাতালকে ২৫০ শয্যায় উন্নিত করার বয়স হয়েছে প্রায় ১ যুগেরও বেশি। কিন্তু পর্যাপ্ত জনবল ও সরঞ্জাম এখনো পৌছাইনি হাসপাতালে। এতে রোগীর সংখ্যা যে হারে বাড়ছে তাতে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসকরা। অন্যদিকে নিচের পুরুষ ওর্য়াডটি করোনা ওয়ার্ড করায় পুরুষ রোগীদের শিফট করা হয়েছে শিশু ওয়ার্ডে এতে রোগীর চাপে পা ফেলার জায়গা নেই সেখানে।
জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. আশীষ কুমার দেবনাথ জানান, ক’দিন আগেও হাসপাতালে রোগীর চাপ কম ছিল। কিন্তু দুয়েকদিন ধরে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আবহাওয়াজনিত কারনে মানুষরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
হাসপাতালের কনসালটেন্ট (শিশু) ডা. মাহবুবা তাজমিলা জানান, ঠান্ডা জনিত সর্দি-কাশি, ডায়রিয়া, এলার্জি, একিউট ব্রঙকিউলাইটিস, নিউমোনিয়া ইত্যাদি রোগের প্রকোপ এখন বেশি। বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুরা এইসব রোগে বেশি আক্রন্ত হচ্ছে।
আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. মকলেছুর রহমান জানান, বর্তমানে হাসপাতালে রোগীর চাপ একটু বেশি। প্রতিবছরই এইসময়টাতে মানুষজন বিভিন্ন রোগে বেশি আক্রন্ত হয়। আমাদের জনবল সংকট, তারপরও চেষ্টা করছি, যাতে রোগীরা সঠিক সেবা পাই।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রফিকুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে সিনিয়র কনসালটেন্ট মেডিসিন, শিশু, সার্জারি, কার্ডিওলজি, জুনিয়র অর্থ সার্জারি, চক্ষু, গাইনি, এনেসথেসিয়া, প্যাথলজি, রেডিওলজি, চর্ম ও যৌন, আরএমও, রেডিওলজিস্ট, প্যাথলোজিস্ট, মেডিক্যাল অফিসারসহ অন্যান্য পদে ৪২টি সৃষ্ট পদ থাকলেও আছে মাত্র ১৭ জন। ফাঁকা রয়েছে ২৫টি পদ। এদের মধ্যে ১১ জন মেডিক্যাল অফিসারের মধ্যে রয়েছে মাত্র ২ জন। সংকট আর সমস্যা নিয়েই হাসপাতালটিতে চিকিৎসাসেবা চালু রাখা হয়েছে। তবে জনবল কম থাকলেও রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্ট করছি।
শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি Alokito Sakal'কে জানাতে ই-মেইল করুন- dailyalokitosakal@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
Alokito Sakal'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।