মুক্তিযোদ্ধার সন্তানসহ তাঁর পরিবারকে উচ্ছেদ ও প্রাণ নাশের হুমকির অভিযোগ
প্রকাশিত : 10:26 AM, 12 June 2022 Sunday 49 বার পঠিত
জমি ক্রয় করে ১৪ বছর ভোগ দখলরত অবস্থায় ইউনাইটেড গ্রুপ কর্তৃক নিরীহ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও তাঁর পরিবারকে জোর পূর্বক উচ্ছেদ, গুম ও প্রাণ নাশের হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমতাবস্থায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও তাঁর পরিবার এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
শনিবার ক্রাইম রিপোর্টাস এসোসিয়েশন ক্র্যাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগি এম এম এ কাদের।
সংবাদ সম্মেলন তিনি অভিযোগ করেন, আমি একজন ব্যাবসায়ী। সরকারকে নিয়মিত আয়কর দিচ্ছি,। আমার স্ত্রী, ইয়াসমিন আরা বেগম পিতা-মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মোঃ মুনসুর আহমেদ (অবঃ পুলিশ কর্মকর্তা)। আমার শশুরের পেনশনের টাকা এবং আমার ব্যবসাযর টাকা দিয়ে ২০০৬ ইং সালে নেপচুন ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কোং (ইউনাইটেড গ্রুপ) থেকে বাড্ডা সেক্টর নং-১, প্লট নং-৫১, রোড নং ১০৩ ও ১০৮, নেপচুন সিটি, মাদানী এভিনিউ ১০০ ফুট এর কাছে এক বিঘা জমি ক্রয় করে টিনের ঘরবাড়ি, ডেইরী ফার্ম, মালের গোডাউন তৈরী করে ভোগ-দখল করছি। খাজনাও পরিশোধ করে আসছি।
কিস্তু গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ইং তারিখে ইউনাইটেড সিটি আমার ক্রয়কৃত প্লটটি আমাকে ছেড়ে দিতে বলে। বিনিময়ে আমাকে অন্য একটি প্লট দিকে চায়। আমি তাদের এই প্রস্তাব মানতে অস্বীকার করলে গত ১১/১০/২০২০ইং তারিখ সকাল ১১.০০ টায় করোনা কালিন লক-ডাউনের সময় সন্ত্রাসী বাহিনী ইউনাইটেড গ্রুপের মালিকদের উপস্থিতিতে ও তাদের হুকুমে ঘর ভাঙ্গার সরঞ্জাম দিয়ে আমাদের জায়গার ৪/৫টি পরিবারের বসবাসের আবাসিক ঘর- বাড়ি,শৌচাগার, ডেইরী ফার্ম ভাংচুর ও উচ্ছেদ করে।
এছাড়া, ট্রাকে করে মাটি এনে ভরাট করতে চেষ্টা চালায়। পরে আমরা বাদী হয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ ২য় আদালত, ঢাকায় একটি দেওয়ানী মোকদ্দমা দায়ের করি। উক্ত মোকদ্দমা কোর্ট স্থিতাবস্থায় বজায় রাখার নিষেধাজ্ঞা দেয়। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেও তাহারা আমাদের জমিতে মাটি ফেলে আরো উঁচু করে আমাদের চলাচলের রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেয়। আমাদের চলাচলের ১০৩ নং রাস্তা বালি দিয়ে বন্ধ করে এবং ১০৮ নং রাস্তা লোহার গেইট দিয়ে বন্ধ করে দেয়।
ইউনাইটেড গ্রুপ এথন আমাকে আমার ছেলেদের সহ পরিবারের সবাইকে গুম করার ও মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে অভিযোগ করে তিনি আরো বলেন, এ বিষয়ে বাড্ডা থানায় ১৬/০২/২০২১ইং তারিখে ১০৬৮ নম্বর সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে।
এছাড়া, আমরা বিজ্ঞ-মহানগর হাকিমের আদালতে একটি মামলা করি। যাহা বিজ্ঞ-আদালত পি.বি.আই- কে তদন্তের করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন। কিন্তু পি বি আই বনশ্রী অফিসে আই ও জনাব সাদিকুর রহমান কয়েক বার আমার জমিতে সরেজমিন তদন্ত করেন এবং আমার নিকট হতে সম্পূর্ণ কাগজ পত্র গ্রহণ করেন ও আমার মানিত সাক্ষিদের জবান বন্দি গ্রহণ করেন। তিনি আমাদের জিজ্ঞাসার জবাবে বলেন তদন্তের কাজ শেষ কয়েক দিনের মধ্যেই আদালতে প্রতিবেদন জমা দিবেন।
এরই মধ্যে ২ মাস পূর্বে পি বি আই কল্যাণপুর অফিস থেকে এস আই বদরুল হায়দার পরিচয় দিয়ে বলেন, তিনি ইয়াসমিন আরার মামলার আই ও, অতি সত্ত্বর তাহার সাথে দেখা করার জন্য, আমরা সকল কাগজ পত্র নিয়ে দেখা করি এবং তিনি সহ আমাদের জমিতে গেলে সেখানে ইউনাইটেড গ্রুপের সিকিউরিটি ঢুকতে দেয়নি। এমতাবস্থায় নিরীহ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও তাঁর পরিবারের সবাইকে নতুন জীবন দিয়ে বাঁচার সুযোগ করে দিতে প্রধানমন্ত্রীর ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি Alokito Sakal'কে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
Alokito Sakal'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।