মাইগ্রেন সমস্যা হয় কি কি কারণে?
প্রকাশিত : 07:17 AM, 20 September 2019 Friday 482 বার পঠিত
যার আছে মাইগ্রেন, সেই বোঝে এই ব্যথার কষ্ট কতটা। মাইগ্রেন ব্যথা মাথার যে কোন এক পাশ থেকে শুরু হয়ে তা ক্রমশ বাড়তে থাকে। প্রচণ্ড মাথা ব্যথার পাশাপাশি বমি বমি ভাবও দেখা দেয়। কারও কারও ক্ষেত্রে মাইগ্রেনের সমস্যা একটানা কয়েকদিন পর্যন্ত চলে।
মাইগ্রেনের সমস্যা অনেক ক্ষেত্রে বংশগত। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বংশ পরম্পরায় এই সমস্যা প্রবাহিত হতে পারে। তবে কয়েকটি অভ্যাস বা কারণ রয়েছে যা মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়িয়ে থাকে। এই কারণগুলো সম্পর্কে আগে থেকে সতর্ক থাকতে পারলে মাইগ্রেন কষ্ট থেকে কিছুটা হলেও লাঘব পাওয়া যায়।
এবার সেই অভ্যাস বা কারণগুলো সম্পর্কে জেনে নিয়ে যাক-
* দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকলে মাইগ্রেনের ব্যথা মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। কারণ খালি পেটে থাকলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা তৈরি হয়, যা মাইগ্রেনের সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে পেট যাতে খালি না থাকে সেই ব্যবস্থা নিতে হবে।
* অতিরিক্ত মাত্রার মিষ্টি খাবার রক্তে সুগারের পরিমাণ বাড়িয়ে থাকে। তখন সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে শরীরে অতিরিক্ত ইনসুলিনের ক্ষরণ হতে থাকে। এর ফলে রক্তের সুগারের মাত্রা ফের নামতে শুরু করে। এই তারতম্যের ফলে মাইগ্রেনের ব্যথা বেড়ে যায়। তাই এই রোগীদের মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে হবে সাবধানতার সঙ্গে।
* অতিরিক্ত রোদে দীর্ঘক্ষণ ঘোরাঘুরির ফলে অনেক সময় মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হতে পারে। তাছাড়াও অস্বাভাবিক গরম, অতিরিক্ত আর্দ্রতা বা তাপমাত্রার তারতম্যে মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়ে। এগুলো মনে রেখেই আপনাকে অগ্রসর হতে হবে।
* অতিরিক্ত আওয়াজ বা হাই ভলিউমে গান শোনার কারণেও মাইগ্রেনের সমস্যা বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে কম ভলিউমে শোনার চেষ্টা করুন।
* একাধিক গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে, যারা নিয়মিত ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় (যেমন কফি) খেতে অভ্যস্ত তারা হঠাৎ করে সেই অভ্যাস ছেড়ে দিলে মাইগ্রেন মাথাচাড়া দিতে পারে। তবে আস্তে আস্তে ছাড়ার অভ্যাস করুন।
* যারা একটানা দীর্ঘক্ষণ অতিরিক্ত চাপ নিয়ে কাজ করেন বা যাদের কাজের চাপে ঘুম ও খাওয়া-দাওয়ার নির্দিষ্ট সময় থাকে না, তাদের মাইগ্রেনে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। এক্ষেত্রে সবকিছুর একটা রুটিন তৈরি করে নিন।
* যারা নিয়মিত মোটামুটি ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা করে ঘুমান, তারা যদি হঠাৎ করে একদিন ৯ থেকে ১০ ঘণ্টা ঘুমিয়ে কাটান, সে ক্ষেত্রে তাদের মাইগ্রেনের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। তাই সব সময় একই নিয়ম ফলো করা উচিত।
শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি Alokito Sakal'কে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
Alokito Sakal'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।