মডেল প্রেস ক্লাব সভাপতির বিরুদ্ধে মারপিটের অভিযোগ : থানায় জিডি
প্রকাশিত : 06:58 AM, 28 May 2022 Saturday 78 বার পঠিত
পাবনায় তথাকথিত মডেল প্রেস ক্লাবের সভাপতি নাহিদ মিয়ার বিরুদ্ধে মারপিটসহ নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এজাহার সুত্রে জানা যায়, নাহিদ মিয়ার বিরুদ্ধে দৈনিক সিনসার বিশেষ প্রতিনিধি খালেদ আহমেদ’কে বেধোরক মারপিট, সাংবাদিক খালেদ এর পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে অর্থ উত্তলোন চাঁদাবাজি ও নিজ সৎ বোনকে বিবাহসহ হয়রানির অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে সাংবাদিক খালেদ মাহমুদ জানান, ২০১৯ সাল থেকে মহান পেশা সাংবাদিকতা করার খাতিরে নাহিদ মিয়ার সাথে পরিচয় হয়। দীর্ঘ দেড় বছর একসাথে সাংবাদিকতা করার এক পর্যায়ে আমি বুঝতে পারি সে আমার নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে অর্থ উত্তোলন ও চাঁদাবাজি করে। তার সাথে ঘনিষ্ঠার এক পর্যায়ে আমি নিঃসন্তান বিষয়টি জানাই, সে তার সৎ বোন যার পিতা একই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ স্ত্রী ডাঃ সিরাজুম মুনিরার ক্লিনিক থেকে একটি বাচ্চা বিক্রির বিষয় আমাকে অবগত করে। আমি নিঃসন্তান থাকায় আবেগে আপ্লুত হয়ে রাজি হই ৷ এক পর্যায়ে সে আমাকে বলে এক গরিব মানুষ তার কন্যা বাচ্চা বিক্রি করবে শুধু সিজারের খরচ দিলেই চলবে। আমি সন্দেহ প্রবণ হয়ে বিষয়টি সম্মতি না দিয়ে এড়িয়ে যায় কারণ এত কম টাকায় কেন তার পিতা মাতা বাচ্চা বিক্রি করবে,আমি নাহিদ মিয়া ও তার স্ত্রীকে সন্দেহ প্রবণভাবে বাচ্চা চুরি চক্রের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে বলে ধারণা করি।
এক পর্যায়ে আমি নাহিদ মিয়ার সকল কুকর্ম ও অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ করায় সে তার এলাকার বিভিন্ন মাস্তান দিয়ে বিভিন্ন সময় ফোন দিয়ে আমাকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে এবং হাত-পা ভেঙ্গে ফেলার হুমকি দেয়। আমি ভয় পেয়ে বিষয়টি চেপে রেখে সহ্য করে নেয় ৷ গত বছর আব্দুল হামিদ রোডে রাতে নাহিদ মিয়া আমাকে একা পেয়ে বেধোরক মারপিট করে। আমি ভয়ে বিষয়টি চেপে রাখার চেষ্টা করি। গত ২২ মে বিকাল ৫ ঘটিকায় ঘোড়া স্ট্যান্ড রোডে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় উপলদ্ধি করি কেউ আমার ভিডিও ধারণ করছে। আমি ভিডিও ধারণকারীকে হাতেনাতে ধরি এবং সে দৈনিক সিনসার সাংবাদিক পরিচয় দেয় তার নাম আব্দুল্লাহ আল মামুন। কথিত এই সাংবাদিককে আটকিয়ে জনসাধারণসহ বেশ কয়েকজন সিনসা কার্যালয়ে সিনসা সম্পাদক এস এম মাহবুব এর কাছে নিয়ে গেলে উনি বলেন একে আমি চিনি না, এই কার্ড আমি একে দেয়নি। এক পর্যায়ে আমরা কথিত সাংবাদিক’র মুঠোফোনের কল লিষ্টে নাহিদ মিয়া মিথুনের নাম্বার পেয়ে যায়।
এরপর থেকে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমার জান-মালের ক্ষয়ক্ষতি হলে নাহিদ মিয়া মিথুন দায়ী থাকিবে। আমি সকল ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে পাবনা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে এই সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ নাহিদ মিয়া মিথুনের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক, তাহলে আগামীতে কোন নিরীহ মানুষকে আর হয়রানি ও মারপিটের শিকার হতে হবে না।
এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, ডিউটি অফিসারের সাথে যোগাযোগ করুন। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযোগের সত্যতা মিললে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে মডেল প্রেস ক্লাবের সভাপতি নাহিদ মিয়া মিথুনের সাথে বেশ কয়েকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, নাহিদ মিয়া মিথুন সাপ্তাহিক সমতল পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক পদে নিযুক্ত রয়েছেন।
শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি Alokito Sakal'কে জানাতে ই-মেইল করুন- da[email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
Alokito Sakal'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।