পাগলা মসজিদের দান সিন্দুকে পাওয়া গেল ২ কোটি ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার ৫৪৫ টাকা
প্রকাশিত : ০৭:১৯ PM, ২৩ জানুয়ারী ২০২১ শনিবার ৭২ বার পঠিত
মোবারক হোসেন, কিশোরগঞ্জ :
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক ৫ মাস পর খোলার পর পাওয়া টাকার পরিমান ২ কোটি ৩৮ লক্ষ ৫৫হাজার টাকা ৫শত ৪৫টাকা। এছাড়াও রয়েছে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা, স্বর্ণ ও রৌপ্য। শনিবার সকালে পাগলা মসজিদের ৮ টি দান বাক্স খোলা হয়। দিনব্যাপী গণনা শেষে বিকেলে এই টাকার হিসাব পাওয়া যায়।
সর্বশেষ ২০২০ সালের ২২ আগস্ট খোলা হয়েছিল তখন এক কোটি ৭৪ লাখ ৮৩ হাজার ৭১ টাকা পাওয়া যায়। এবারও দান সিন্দুকে বিপুল পরিমাণ দান পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতিতে এবার ৫ মাস ৪ দিন পর খোলা হলো এসব দান সিন্দুক। শনিবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ১০ টায় জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের ৮টি দান সিন্দুক খোলা হয়। দান সিন্দুক থেকে টাকা বস্তায় ভরা হয়। পরে বস্তাগুলো খুলে শুরু হয় টাকা গণনার কাজ। এবার সবচেয়ে বেশি ১৪ বস্তা টাকা হয়েছে। এছাড়া পাওয়া গেছে স্বর্ণালঙ্কার ও বৈদেশিক মুদ্রা।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল্লাহ আল মাসউদের তত্ত্বাবধানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শফিকুল ইসলাম, মো. উবায়দুর রহমান সাহেল, জুলহাস হোসেন সৌরভ ও মো. ইব্রাহীম, পাগলা মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শওকত উদ্দীন ভূঞা, রূপালী ব্যাংকের এজিএম অনুফ কুমার ভদ্র প্রমুখ টাকা গণনার কাজ তদারকি করেন।
প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ মসজিদটির দানসিন্দুকগুলোতে নগদ টাকা-পয়সা ছাড়াও স্বর্ণালঙ্কার, গবাদিপশু, হাঁস-মুরগীসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন। সাধারণত তিন মাস বা তার চেয়ে বেশি সময় পর দানসিন্দুক খোলা হয়। কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক বিভিন্ন স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে এই মসজিদটি গড়ে উঠে। যা বর্তমানে দেশের অন্যতম আয়কারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত।
শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি Alokito Sakal'কে জানাতে ই-মেইল করুন- dailyalokitosakal@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
Alokito Sakal'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।