নাগেশ্বরীর চরাঞ্চলে বিস্তীর্ণ এলাকা জুরে কৃষকের মাঠ হলুদে ছেয়ে গেছে
প্রকাশিত : ০৭:২৭ PM, ১৪ ডিসেম্বর ২০২০ সোমবার ৭৭ বার পঠিত
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর চরাঞ্চলে বিস্তীর্ণ এলাকা জুরে কৃষকের মাঠ হলুদে ছেয়ে গেছে। সরিষার হলুদ রংয়ের ফুলে ভরে উঠেছে নাগেশ্বরীর মাঠ। চরাঞ্চলের মাঠ ভরা ফুল আর ফুল, ভরে গেছে কৃষকের মন, আর মুখে তৃপ্তির হাসি ঘনবৃষ্টি আর বর্ষার ক্ষতি পুশিয়ে নিতে স্বপ্ন পুরনের আশা।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, নাগেশ্বরীর বল্লভের খাস, বামানডাঙ্গা, নেওয়াশী কচাকাটা, নারায়নপুর, হাসনাবাদ, ভিতরবন্দের মাঠে মাঠে সরিষা ফুলের সমারহ। প্রকৃতির নির্মল বাতাসে সরিষা ফুলের ঘ্রানে মৌমাছি মধু সংগ্রহে ব্যাস্ত সময় কাটাচ্ছে। ফুলে ফুলে মৌমাছি আর গুন গুন শব্দে গেয়ে যাচ্ছে গান সরিষার ফসলি জমির পাশ দিয়ে হেটে যেতে মনমুগ্ধ পরিবেশে কেরে নিচ্ছে মানুষের মন আর হৃদয় ছোয়া ঘ্রান।
স্থানীয় কৃষক নায়েব আলী, আক্তার হোসেন, আব্দুস সাত্তার, শফিকুল ইসলাম জানান গেছে বন্যায় জমিতে ধান করতে না পারায় জমিতে আগাম নানা জাতের সরিষা চাষ করেছি যাতে গেছে মৌসুমের ক্ষতি কিছুটা পুসিয়ে নিতে পারা যায়। এ ফসলটি স্বল্প মেয়াদী অল্প খরচে হয় তাই কৃষকের আগ্রহ বেশি। জমিতে বিজ রোপনের প্রায় ৯০/৯৫দিনের ভিতরে ঘরে ফসল তোলা যায়, যে পরিমান রাসায়নিক সার গ্রয়োগ করা হয় তাতে বোরো মৌসুমে ধানের চাষে সার কম লাগে, এ ছাড়াও সরিষার পাতা ঝরে পরে জমিতে সবুজ সারের চাহিদা মেটায়। কাজেই কৃষকেরা অল্প খরচে বেশি লাভের আশায় সরিষা চাষে আগ্রহী বেশি থাকে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজেন্দ্রনাথ জানান নাগেশ্বরী কচাকাটা সরিষা চাষের উপযোগী জায়গা, এবারে উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে লক্ষ মাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। উপজেলার লক্ষ মাত্রা সম্পর্কে কৃষি অফিসার রাজেন্দ্র নাথের সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ব্যস্ততা দেখান।
কৃষকেরা উন্নত জাতের বারি-১৪,বারি-৯,বিনা-৯/১০এবং সরিষা-১৫, সোনালী সরিষা ৭৫ চাষ হয়। প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে এবারের কৃষকেরা সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষকরা।
শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি Alokito Sakal'কে জানাতে ই-মেইল করুন- dailyalokitosakal@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
Alokito Sakal'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।