নবীগঞ্জ পৌরসভায় একটি ব্রীজ নির্মাণে শত বাঁধা,নিজের অর্থায়নে ব্রীজ নির্মাণ করার প্রতিশ্রুতি দিলেন ব্যারিস্টার সুমন
প্রকাশিত : ০৮:২৫ PM, ১৩ জানুয়ারী ২০২১ বুধবার ৩৯ বার পঠিত
আলী জাবেদ মান্না, নবীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
নবীগঞ্জ পৌরসভার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ৩নং ওয়ার্ড আনমনু গ্রাম,নবীগঞ্জ বাজার। শাখাবরাক নদীতে একটি ব্রীজের অভাবে এই ওয়ার্ডের লোকজনসহ প্রায় ৫ গ্রামবাসীর জনদুর্ভোগ চরমে। পৌর মেয়র থেকে শুরু করে এখানে ব্রীজ নির্মাণে কোনো জনপ্রতিনিধিই উদ্যোগ নেননি অভিযোগ ওয়ার্ডবাসীর। অথচ নিজের ব্যক্তি মালিকানা জমি দাবী করে শত বাঁধা বিপত্তি সৃষ্টি করছে একটি ভুমিখেকো চক্র। এ যেন দেখার কেউ নেই। নির্বাচন আসলে প্রতিশ্রুতিতেই সীমাবদ্ধ থাকছে বার, বার। বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেয়নি কোনো জনপ্রতিনিধি। বিগত ২২ বছর ধরে পৌরসভার সড়ক থাকলে ও নদীর পাড়ে গিয়ে ব্রীজের অভাবে আটকে আছে রাস্তা। এই সড়ক দিয়ে জরাজীর্ণ বাঁশের সাকোঁ দিয়ে যেতে হয় হাসপাতালে। চিকিৎসা নিতে বাঁশের সাকোঁ পাড়ি দিয়ে হাসপাতালে যেতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ে গুরুতর আহত হয়ে প্রাণনাশের ও শঙ্কা রয়েছে। প্রথম শ্রেণীর খেতাবপ্রাপ্ত এই পৌরসভায় এমন অবস্থা দেখলে চোখ উপরে উঠার মত। সাকোঁটি দেখলে মনেই হবে না এটি প্রথম শ্রেণীর খেতাবপ্রাপ্ত পৌরসভার চিত্র। বার,বার টেন্ডার হলেও আজ পর্যন্ত নির্মাণ হয়নি ব্রীজ। নদীতে ব্যক্তিগত জমির মালিক দাবী করে একশ্রেণীর প্রভাবশালী মহল সৃষ্টি করছে শত বাঁধা বিপত্তি। এবার নবীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন সামনে রেখে নৌকার প্রচারণায় এসে কাঠের তৈরী ব্রীজ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। এরআগে প্রভাবশালী চিহ্নিত ভূমিখেকুদের শত বাঁধা বিপত্তি অতিক্রম করে এখানে প্রথমে বাঁশের সাকোঁ তৈরী করেছিলো নবীগঞ্জ পৌর এলাকার আনমনু গ্রামের শাপলা যুব সংঘ নামের সংগঠন। সঠিক সময়ে মেরামতের অভাবে এখন তা ও আর নেই। শুধু বাঁশের অস্তিত্ব লক্ষ করা যায়। এদিকে (১২ জানুয়ারি) মঙ্গলবার রাতে নবীগঞ্জ পৌরসভার নৌকার নির্বাচনী প্রচারণার একটি উঠান বৈঠকে এসে এসব গ্রামবাসীর দুঃখ দুর্দশার কথা শুনে নদীর পাড়ে গিয়ে নিজের অর্থায়নে একটি কাঠের ব্রীজ নির্মাণ করার প্রতিশ্রুতি দিলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। তিনি বলেন, নবীগঞ্জ পৌরসভার মত একটি জায়গায় ১শ ফুঁটের মত একটি সাকোঁ এখনো ব্রীজ হইছে না এটা আমার বিশ্বাস হচ্ছে না। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি পাকা ব্রীজ হওয়ার আগে এখানে একটি কাঠের ব্রীজ তৈরী করে দেব। নৌকার প্রার্থী গোলাম রসূল রাহেল চৌধুরী নির্বাচিত হলে ৬ মাসের মধ্যে এখানে ব্রীজ নির্মাণ করবে। রাহেল নির্বাচিত হয়ে এখানে ব্রীজ নির্মাণ না করলে আমি আমার পিতার সম্পত্তি বিক্রি করে হলেও এখানে ব্রীজ নির্মাণ করব। ওয়ার্ডবাসী বলছেন আমাদের দীর্ঘদিনের দাবী ছিল শাখাবরাক নদীতে ব্রীজ নির্মাণ করে দেওয়ার। তবে আমাদের দুর্ভোগে কেউই এগিয়ে আসেননি। এবার নৌকার প্রার্থী তরুণ রাজনীতিবীদ উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক গোলাম রসূল রাহেল চৌধুরী ওয়ার্ডবাসীকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, আমি নবীগঞ্জ পৌর এলাকার ৩নং ওর্য়াড আনমনু গ্রামের সন্তান। এই গ্রাম আমার। আমি এই গ্রামের সন্তান। ইনশাআল্লাহ কোনো অপশক্তি এখানে ব্রীজ নির্মাণে আর বাঁধা বিপত্তি সৃষ্টি করতে পারবে না। এখানে অচিরেই ব্রীজ হবে।
শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি Alokito Sakal'কে জানাতে ই-মেইল করুন- dailyalokitosakal@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
Alokito Sakal'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।