দূর্নীতিতে শীর্ষে এখন চরফ্যাসনের আবু ইকবাল মোঃ নুর হোসেন
প্রকাশিত : ০৯:৪৪ PM, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ বুধবার ২৭৯ বার পঠিত
আমরা জানি শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড।সে শিক্ষা দেন শিক্ষকরাই। কিন্তু এই নুর হোসেন কি ধরনে শিক্ষক।কিভাবে সে জাতি গড়বে। যে কিনা দীঘ©দিন শ্রেণিকক্ষে কোন পাঠদানই করান নাই।এই ঘটনা ঘটেছে ভোলার জেলার দুলারহাট থানার চরনুরুল আমিন 3নং ওয়ার্ডে অবস্থিত আসলামিয়া হামেলা খাতুন বালিকা দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষকে জনাব মাও: আবু ইকবাল মোঃ নুর হোসেন। তিনি উক্ত মাদ্রাসায় শরীরচর্চা শিক্ষক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত আছেন বলিয়া আমার সকলে জানি। কিন্তু ছাত্রী ও অভিভাবকদের পক্ষ থেকে অনেকে জানান যে এই নামের কোন শিক্ষকই উক্ত মাদ্রাসায় নাই।এই অভিযোগের ভিত্তিতে সাংবাদিকদের অনুসন্ধান টিম ১৫/০৯/২০১৯ ইং তারিখে উক্ত মাদ্রাসায় গিয়ে হাজির হন।
প্রথমে দেখতে পান শিক্ষক হাজিরা খাতায় জনাব মোও: নুর হোসেন সাহেবের অনুপন্থিত লালকালির দাগের উপর তাহার স্বাক্ষর করা। এই ঘটনা উক্ত মাদ্রাসার সুপার মাও: মনিরুজ্জামান সাহেবকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলে যে, না সে মাদ্রাসায় আসে এবং এই তাহার হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর।তখন সাংবাদিক টিম দেখিয়ে দেন যে, নুর হোসেন সাহেবের অনুপন্থিতির লালকালির দাগের উপর নুর হোসেন সাহেবের স্বাক্ষর করা।তখন সুপার সাহেব বলেন যে, ভাই ব্যাপারটি নিয়ে আর বাড়াবাড়ি না করিয়া আমি আপনাদের সাথে একটু অন্যভাবে কথা বলিব। কমিটির সকলেই এই ব্যপারে জানেন। কি আর করবেন। আবু ইকবাল মোঃ নুর হোসেন খুবই প্রভাবশালী লোক। আমি তাহাকে অনুপন্থিত দেওয়ার পরেও প্রায়ই তিনি জোর পূব©ক লালকালির উপর স্বাক্ষর করিয়া বেতন উত্তোলন করিয়া নিত। এভাবেই প্রায় দীর্ঘদিন তিনি এসব করিয়া আসিতেছেন।আপনার তাহার কিছুই করিতে পারিবেননা। স্থানীয় এমপি সাহেবের সাথে তাহার উঠা বসা।
পরে মাদ্রাসায় অনেক খোঁজা খোজি করিয়াও নুর হোসেনকে মাদ্রাসায় পাওয়া যায়নাই। মাদ্রাসা থেকে বের হওয়ার পর কয়েকজন অভিভাবকের সাথে কথা বলে জানতে পারি যে, মাও: আবু ইকবাল মোঃ নুর হোসেন আবুবকরপুর ইউনিয়নে হাসানগঞ্জ দাখিল মাদ্রাসায় সুপারের দায়িত্ব পালন করছেন নুর হোসেন দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে। এই ব্যাপারে মাদ্রাসার সভাপতি মোঃ তছির পাটোয়ারীর কাছে জিজ্ঞাসা করিলে তিনি বলেন যে, আমি এই মাদ্রাসায় দীর্ঘদিন যাবত এই ভাবেই চলিতেছে জেনে সুপারকে দিয়ে গত ০১/০৮/১৯ ইং তারিখ হইতে নুর হোসেন মাওলানা সাহেবের অনুপস্থিতিতে প্রত্যেকটা দিন লাল কালি দিয়ে ইংরেজীতে “এ” লিখে রাখে। পরবর্তীতে নুর হোসেন সাহেব আসে তখন সে সুপারের সহযোগিতায় লাল কালি দিয়ে ইংরেজীতে “এ” লিখে রাখার স্থানে নুর হোসেন সাহেব স্বাক্ষর করেন। এভাবেই প্রতিনিয়ত মাদ্রাসায় পাঠদান না করে বেতন উত্তোলন করিয়া নিতেছে। পরে সভাপতিকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে, মাদ্রাসায় কোন মাসিক সভা হয় কিনা।
তখন তিনি বলেন আমি বাবা বুড়ো মানুষ এত কিছু বুঝিনা, মাদ্রাসায় সেক্রেটারীতো সুপার নিজেই।পরে সাংবাদিক টিম আছলামিয়া হামেলা খাতুন বালিকা দাখিল মাদ্রাসা থেকে নুর হোসেন সাহেব যে মাদ্রাসার সুপার সেই হাসানগঞ্জ দাখিল মাদ্রাসায় গিয়া উপস্থিত হয়। সাংবাদিক টিমের আসার খবর শুনে নুর হোসেন সাহেব হাসানগঞ্জ দাখিল মাদ্রসা থেকেও পলায়ন করিয়াছে বলিয়া সাংবাদিক টিম মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট জানতে পারে। তখন নুর হোসেন সাহেবের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করিলে তিনি সাংবাদিকদের মোবাইল ফোনে বলেন ভাই আপনারা আমার পিছনে কেন লাগলেন আমি আপনাদের কি ক্ষতি করিয়াছি। এদেশে আমার মত অনেক শিক্ষকই মাদ্রাসা ও স্কুলে না গিয়ে বেতন উত্তোলন করেন কেউ কেউ দুই তিনটি প্রতিষ্ঠানেও চাকুরী করেন। তাহাদের কিছুই হয়না, কিন্তু আপনার তাহাদের কিছু না বলিয়া আমার পিছনেই লাগলেন, যাহা পারেন লেখেন।এমপি মহোদয় কিছুদিন পূবে©ও আমার হাসানগঞ্জ মাদ্রাসায় একটি ভবন দিয়েছেন।এমপি মহোদয়ের সাথে আমার সু-সম্পর্ক।তখন চরফ্যাসন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ জিয়াউল হক মিলন সাহেবকে মোবাইলে ফোন করিলে সে জানায় অত্র বিষয়টি আমি সরজমিনে তদন্ত করিয়া উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠাইয়া দিব। এভাবে আর পাঠিয়ে দেওয়ার কথা কত শুনতে হবে আমাদের, তাহা উপরওয়ালাই জানেন।অতঃপর ১৮/০৯/২০১৯ ইং তারিখ একাডেমিক সুপার ভাইজার মোঃ খলিলুর রহমান আছলামিয়া হামেলা খাতুন বালিকা দাখিল মাদ্রাসায় পরিদশর্নে আসিয়া শিক্ষক হাজিরা খাতা না দেখিয়া ক্লাশ পরিদর্শন করিয়া মাদ্রাসার সুপারসহ মাদ্রাসা থেকে চলিয়া যান।
শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি Alokito Sakal'কে জানাতে ই-মেইল করুন- dailyalokitosakal@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
Alokito Sakal'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।