ঝুঁকিপূর্ণ ঘরেই চলছে পাঠদান!
প্রকাশিত : 02:24 AM, 27 September 2019 Friday 249 বার পঠিত
ভূঞাপুর উপজেলার ১৬ নং ঢেপাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আলাদা ভবন না থাকায় বাধ্য হয়েই ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয় ঘরে ক্লাস কার্যক্রম চালাতে বাধ্য হচ্ছেন শিক্ষকরা। জরাজীর্ণ ওই ঘরে বৃষ্টির পানিতে ভিজে ভিজে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলা ঢেপাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ঘরসহ তিনটি পাকা ভবন রয়েছে। এরমধ্যে একটি ভবনে শিক্ষকরা অফিস কক্ষ হিসেবে ব্যবহার করছে। আরেকটি ভবনের দুই কক্ষে ক্লাস চলছে। এক কক্ষে দুই শ্রেণির ক্লাস হচ্ছে। সেই ভবনটিতে ফাটল দেখা দিয়েছে। বাকি ঝুঁকিপূর্ণ ও জরাজীর্ণ ঘরে ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষকরা। এতে যে কোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়ে হতাহতের আশঙ্কা করছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ঘরের দুইটি কক্ষের দরজা, জানালা, টিনের চাল মরিচা ধরে খসে খসে পড়ছে। বিদ্যালয়টি সড়কের পাশে হওয়ায় রাত্রি বেলায় অজ্ঞাতরা ঘরে পায়খানা প্রসাব করে রাখে। অনেক সময় মাদকসেবীদের রাতে আড্ডা বসে। বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আদিব হাসান নীরব জানায়, বিদ্যালয়ে আসতে ভয় লাগে। ভাঙা স্কুলে পড়তে ভালো লাগে না। অনেক শিক্ষার্থী এখন আর নিয়মিত স্কুলে আসছে না।
ঢেপাকান্দি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফরিদুল ইসলাম বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও বাধ্য হয়ে জরাজীর্ণ এই ঘরে ক্লাস নিতে হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের বসার বিকল্প কোনো জায়গা না থাকায়। বর্তমানে শিক্ষার্থীরা তেমন বিদ্যালয়ে আসতে চায় না। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভয়-আতঙ্ক কাজ করছে।
ঢেপাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল খালেক বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ঘরে বাধ্য হয়ে ক্লাশ কার্যক্রম চালাচ্ছি। বারবার শিক্ষা অফিসকে অবহিত করা হলেও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। যেকোনো মুহূর্তে ঘরটি ভেঙে পড়তে পারে। এতে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহজামাল বলেন, বিদ্যালয়ের ওই ঘরটি গত চার বছর আগে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ওই বিদ্যালয়ে নতুন ভবন, বিদ্যালয়ের গেট ও বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে। বর্তমানে বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজ টেন্ডার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে।
শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি Alokito Sakal'কে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
Alokito Sakal'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।